সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে আসা মর্টারশেল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়ায় পড়ে নিহতের ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। তাদের সরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। তবে গত কয়েক দিনে কোনও ধরনের গোলার আওয়াজ ও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না যাওয়ার ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে স্থানীয় প্রশাসন। জোরদার করা হয়েছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা। বান্দরবান জেলা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন বলছে, বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্তে যে এলাকায় গোলা এসে পড়েছে সেখানে প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস। জনসংখ্যা প্রায় হাজার খানেক। তাদের নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশ টহল। আপাতত কোনও গোলা পড়েনি কিংবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তারপরও সব বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। সীমান্তের অস্থিরতার সুযোগ কেউ যেন না নিতে পারে এ নিয়ে বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।
বিজিবি বলছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মিয়ানমারের যে বর্ডার ব্যবস্থাপনা সেটি পরিচালিত হয়ে প্রটোকল মেনে। এর গাইডলাইন রয়েছে। এগুলো অনুসরণ করে বিজিবি ও বিজিপি সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিয়ে দুই বাহিনী কাজ করে।
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত বান্দরবান জেলার মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের সরিয়ে আনার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তা শুরু হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
পাঠকের মতামত